ডেস্ক রিপোর্ট : জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সংসদ এলাকায়। আশপাশের এলাকায় গলিতে গলিতে জুলাই যোদ্ধা ও স্থানীয়রা অবস্থান করছেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১টা ২৫ মিমিটে সংসদের ভেতর প্রবেশ নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, আসাদ গেট, ধানমন্ডি ২৭, খামার বাড়ি, আগারগাঁও এলাকাজুড়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
জানা যায়, দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।
এদিকে লালমাটিয়া ও আশপাশের এলাকার গলিতে গলিতে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই যোদ্ধা ও স্থানীয়রা। পাশাপাশি মিরপুর রোডের কলাবাগান এলাকার দিকেও বেশকিছু জনতাকে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা গেছে।
এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন।