ডেস্ক রিপোর্ট : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন লাগার ঘটনায় শনিবার বিভিন্ন রুটের মোট ২১টি ফ্লাইট ডাইভার্ট ও বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। আগামী তিন দিন যত ননসিডিউল ফ্লাইট আসবে সেগুলোর ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ করা হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শনের পর তিনি এই তথ্য জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় আমাদের ২১টির মতো ফ্লাইট ডাইভার্ট ও বাতিল হয়েছে। যাত্রীদের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা একটি বর্ডার ইস্যু করেছি যার মাধ্যমে আগামী তিন দিন যত ননসিডিউল বাড়তি ফ্লাইট আসবে তার সমস্ত মাসুল এবং খরচ আমরা মওকুফ করে দেব। ভিসা জটিলতার কারণে যাদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন চাকরি, চিকিৎসা এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখার করার প্রয়োজনে যে সংকটটা তৈরি হয়েছে সেটা উত্তোরণের জন্য গতকাল রাত থেকে আমরা কাজ করছি।
‘গতকাল রাত নয়টা থেকে আমাদের ফ্লাইট চালু হয়েছে। তখন থেকে নিরবিচ্ছন্নভাবে আমাদের ফ্লাইট অপারেশন চলছে। যারা যাত্রী ছিল তাদের হোটেলে থাকা শুরু করে খাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না। এরপরও যাত্রীরা যে কষ্ট পেয়েছে তার জন্য আমি যাত্রীদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ড্যামেজ এসেসমেন্টের কাজ চলছে। আমরা আমদানিকৃত পণ্যগুলো যেখানে একত্রিত হয় আগুনে তা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং ওজনের পরিমাণ আমরা নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছি। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতভিত্তিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাও নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। অনুসন্ধানে সব বিষয় বেরিয়ে আসবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আগুন নেভানো হচ্ছিল তখন মালামাল সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। তবে কী কী সমস্যা হয়েছে তার সবকিছুকে আমলে নেব। সবকিছুকে আমলে নিয়েই অনুসন্ধান করা হবে।’
আগুন নেভাতে এসে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এটা একটি কেপিআই এলাকা। এখানে একটি নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা আছে। তারা তথ্য পাওয়ার পর যতটুকু জানি আসতে ১০ মিনিট সময় লেগেছে। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যে নিজস্ব ইউনিট রয়েছে ডেপলয় হয়েছে। এরপরও যতো অভিযোগ এসেছে সব কিছুকে আমলে নেওয়া হবে। তারা একাই পারেনি বলে একে একে ৩৭ ইউনিট কাজ করেছে। এমনকি ওয়াসা যুক্ত হয়ে পানি এনেছে। তদন্ত সংস্থা, গোয়েন্দা সকলকে একত্রিত করে আমরা সবার মতো নিয়ে বিষয়টি কী ঘটেছে রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করব।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের গতকাল থেকে কার্গো আসছে। আমাদের বাণিজ্য সহায়তার উদ্দেশ্যে এই কার্গোগুলো বন্ধ করতে পারব না। আমরা সপ্তাহে সাত দিন চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করব। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ আছে, আমাদের এয়ারপোর্ট ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ কী আছে সকল কিছুকে আমলে নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হব।