সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা একই দিনে পানিতে ডুবে তিন শিশু কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । সাতক্ষীরার কালগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে লামিসা খাতুন নামে ১৯ মাস বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লামিসা খাতুন ইন্দ্রনগর গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরার জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশু লামিসা খাতুনকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে উঠানের পাশের পুকুরের পানিতে তাকে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়। লামিসা খাতুনকে উদ্ধার করে দ্রুত নলতা হাটখোলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল লতিফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বড়দল ইউনিয়নে পানিতে ডুবে ঈশিতা সানা নামে দেড় বছরের এক শিশুর করুন মৃত্যু হয়েছে। সোমবার আনুমানিক দুপুর ২টায় ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ঐ গ্রামের মহেন্দ্র নাথ সানার ছোট কন্যা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রসেনজিৎ সরকার জানান, মহেন্দ্র নাথের বড় কন্যা মমতা সানা (৪) ও ছোট কন্যা ঈশিতা সানা সবার অজান্তে বাড়ির পাশে এক পুকুরে যায়।
এসময় ঈশিতা পানিতে পড়ে গেলে বড় বোন মমতা তাকে পানি থেকে উঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ডেকে নিয়ে আসে, তার মা এসে দেখে মেয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে।
এসময় মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে, ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে মো. ফয়সাল হোসেন (১৬) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। সে একই গ্রামের মোটরসাইকেল ড্রাইভার শাহিনুরের ছেলে।
প্রতিবেশী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ফয়সাল মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল এবং মৃগীর রোগী ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় চায়ের দোকানে ফয়সাল প্রতিদিনের মত বসেছিল। কেউ একজন তাকে ১০ টাকা দিলে সে খাবার কিনে খেতে খেতে বাড়ির দিকে যায়। কিন্তু সে বাড়িতে না পৌঁছালে সারা রাত তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর করে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে সকালে আবার খোঁজা খোঁজির একপর্যায়ে সোমবার বেলা ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী ডোবায় শেওলায় মধ্যে ফয়সালের পা দেখতে পাওয়া যায়। পরে ফয়সালকে মৃত অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্যা হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় দাফনের জন্য লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।