1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

দাকোপে হাজারো মানুষের ভরসা রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ সুপেয় খাবার পানি সংকটে ভুগছে হাজারো পরিবার। লবণাক্ত ও আর্সেনিক দূষিত পানির কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ্য পানির ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ায় এখন একমাত্র অবলম্বন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ। আর এই নিরাপদ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ভরসা পর্যাপ্ত রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং (ট্যাংকি)। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ট্যাংকি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় মোট ৭ হাজার ৫৬০টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ট্যাংকি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উপকূলীয় জেলা সমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৮২৬টি ট্যাংকি। এ ছাড়াও বিভিন্ন এনজিওর উদ্যোগেও আরো প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার ট্যাংকি বিতরণ হয়েছে। অনেকে আবার ব্যক্তিগত ভাবে বা কিস্তিতে কিছু ট্যাংকি সংগ্রহ করেছেন। তা ছাড়া লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের কারণে টিউবওয়েল স্থাপন কার্যত অসম্ভব। জানা গেছে ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এ উপজেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার এবং পরিবার সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার। নিরাপদ পানি সংকট নিরসনে প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে ৩ হাজার লিটার পানির ট্যাংকি প্রয়োজন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় রয়েছে ব্যাপক অপ্রতুল।
কালাবগি এলাকার রুমানা খাতুন, শ্রীনগর এলাকার নমিতা রায়, গুনারী এলাকার চৈতালী সরদার, খেজুরিয়া এলাকার রুপা মন্ডলসহ আরো অনেকে জানান, আগে দূর-দূরান্ত থেকে পুকুরের অবিশুদ্ধ পানি এনে খেতে হতো। অনেক সময়ে বিশুদ্ধ পানি কিনেও আনতে হতো। এখন বাড়ির আঙিনায় সরকারের দেওয়া ৩ হাজার লিটার ট্যাংকি থাকায় সেই ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। বিশেষ করে আমারা মহিলারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছি। তারা মনে করনে দীর্ঘ দিনের পানির সংকট মোকাবেলায় ট্যাংকি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তবে নিরাপদ পানির টেকসই সমাধানের জন্য এরকম প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং বেশি বেশি ট্যাংকি বরাদ্দ জরুরী।
পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছাব্বির আহমেদ বলেন, এই উপজেলা দেশের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্াস আর লবণাক্ততার কারণে এখানে খাবার পানির সংকট আরও বাড়ছে। ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক ও লবণ থাকায় টিউবওয়েল বসানো সম্ভব নয়। তাই রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংই এখানকার মানুষের একমাত্র ভরসা। ফলে সুপেয় খাবার পানি সংকট নিরসনে পরিবার প্রতিটি ১টি করে ট্যাংকি প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এবিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ইত্তেফাককে জানান, এই উপজেলায় লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের কারণে টিউবওয়েল কার্যকর নয়। তাই বৃষ্টির পানি সংরক্ষণই এখানকার মানুষের একমাত্র নিরাপদ সমাধান। রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ট্যাংকগুলো জলবায়ু সহিষ্ণু করে তৈরি করা হয়েছে। আমার পরামর্শ হলো প্রতিটি পরিবার যেন ট্যাংকের পানি ব্যবহারে সচেতন হয় এবং নিয়মিত পরিষ্কার রাখে। সংরক্ষিত পানিকে ঢেকে রাখা, সময়মতো ব্যবহার করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এ পানি সারা বছরই নিরাপদ থাকবে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এনজিও ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা মিলিয়ে ইতি মধ্যেই নিরাপদ পানি সংরক্ষণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে চাহিদা এখনও অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে এবং আরও নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট