সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সদর উপজেলার খানপুরে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম শাহানাজ (২৬)। তিনি খানপুর গ্রামের আবুল কাসেম গাজীর বড় ছেলে মাসুদ (৩২) এর স্ত্রী। ১৯ সেপ্টেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার হয়।।
মৃত্যু গৃহবধূ শাহানাজ কয়রা উপজেলার ঘুকরাকাটি গ্রামের মৃত্যু শাহাদাৎ হোসেন মেয়ে। মৃত্যু গৃহবধূ শাহানাজের শাশুড়ি রোকেয়া খাতুন জানান, আমার বড় ছেলে মাসুদ চাকরি করেন। বর্তমানে মাসুদ বাড়িতে নেই। আমার বউমার রাতে শোয়ার ঘরের বারান্দায় আমার বৃদ্ধ শাশুড়িও মাঝে মাঝে আমার ছোট ছেলে ফিরোজ (২৬) শয়ন করে। ঘটনার দিন রাতে আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি ছিল কিন্তু ওই দিন আমার ছোট ছেলে ফিরোজ হোসেন মৎস্য ঘেরের বাসায় ছিল। আমাদের পরিবারের কারো সাথে আমার বউমার কোন প্রকার ঝামেলা হয়নি।
চাচা শ্বশুর আবুল কালাম জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে বউমা আমার মেয়ে সোনালী (২০)কে সাথে নিয়ে জুতাসহ কিছু জিনিস মার্কেট করে নিয়ে আসে। রাত ৯টার দিকে নিজের ঘরে শয়ন করে। সকালে বউমা দেরি করে উঠতে দেখে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা বউমাকে ডাকতে থাকে।
ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আমি ঘরের দরজার হাক (খিল) লাঠি দিয়ে খুলে ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলছে। তাকে বাঁচাতে ওড়না কেটে তাকে নিচে নামানো হলে তখন মৃত্যুবরণ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, মাসুদ ও শাহানাজ দু’জন নিজেরা প্রেম করে বিবাহ করে, প্রথমে মাসুদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিবাহ মেনে নেইনি। তারা আরও জানান, মৃত শাহানাজের গলায় যে দাগ দেখা যাচ্ছে এবং ঘরের আড়ায় ওড়না বাঁধা বউমার পক্ষে সম্ভব ছিল না বলে তারা ধারণা করছে।
তবে বিবাহের কিছু দিন পরে মেনে নেয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানান। পরে এলাকা থেকে সাতক্ষীরা সদর থানার সংবাদ দিলে থানার এসআই নিশাত ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক জানান, হত্যা কি আত্মহত্যা ময়না তদন্ত ছাড়া জানা যাবে না। ময়না তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।