1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে দাকোপের জেলেরা হয়ে পড়ছে ঋনগ্রস্থ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : মা ইলিশ রক্ষায় মাছ ধরা বন্দ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলেরা। ফলে সংসার চালাতে ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ছে দাকোপের জেলে পরিবার গুলো। মৌসুমের এই সময় সহায়তা বৃদ্ধির দাবী তাদের।
দাকোপের পশুর ও শিপসা নদীতে ইলিশ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে কয়েক শ’ জেলে পরিবার। উপজেলা মৎস্য অফিসের তালিকায় ভিজিএফ কার্ডধারী জেলের সংখ্যা এ বছর ৯৫০। তবে বাস্তবতায় আরো অনেক বেশী জেলে এ পেশার সাথে জড়িত। খোজ নিয়ে জানা যায় চালনা পৌরসভাধীন ২ শতাধীক জেলে বর্তমানে পশুর নদীতে ইলিশ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অর্থাৎ ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোন জেলে মাছ ধরতে নদীতে যেতে পারবেনা। তবে এখন নিষেধাজ্ঞার উপযুক্ত সময় না দাবী করে জেলেরা বলেন, অধিকাংশ মা ইলিশের পেটে এখনও ডিম আসেনি। তা ছাড়া ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকারে থাকায় আমাদের মাছ তাদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মা ইলিশ রক্ষার উদ্যোগ খুব বেশী সফল হচ্ছেনা। তাদের মতে ভারতের সাথে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। জেলেরা এখন ঘাটে বসে জাল নৌকা সংস্কার করে বেকার সময় পার করছেন। কর্মহীন এই সময় কালীন জেলে প্রতি সরকারী সহায়তা হিসাবে দেওয়া হবে ২৫ কেজি করে চাউল। খোজ নিয়ে জানা যায় চালনা পৌরসভায় বর্তমানে শতাধীক জেলে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় আছে। অনেকের রেজিষ্টেশন আছে কিন্তু কার্ড পাইনি তারা মৎস্য অফিস থেকে দেওয়া স্লীপের মাধ্যমে এই সহায়তার আওতায় আসবে বলে জানা গেছে। জেলেদের অভিযোগ কার্ড পেতে তাদের পোহাতে হয় নানা দূর্ভোগ। চলমান নিষেধাজ্ঞা কালীন কিভাবে চলে তাদের জীবন জীবিকা জানতে চাইলে চালনা পৌরসভাধীন নলোপাড়া এলাকার জেলে মুজিবর গাজী বলেন, গড়ে দিনে ৩ কেজি হারে ২২ দিনে একটি জেলে পরিবারের প্রয়োজন কমপক্ষে ৬৬ কেজি চাউল। এ ছাড়া বাজার খরচসহ পরিবারের অন্যান্য চাহিদা মিটাতে আমাদের কয়েক হাজার টাকা ঋন হতে হয়। একই এলাকার জেলে হাসমত খলিফা বলেন পেটের দ্বায়ে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে আইন অমান্য করে মাছ ধরতে যায়। সরকার যদি নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে জেলে প্রতি ৫০ কেজি হারে চাউল এবং অন্তত ১ হাজার করে টাকা দেয় তাহলে আমরা পরিবার নিয়ে কোন মতে চলতে পারতাম। জেলেদের ভাষায় ইলিশ ধরা প্রতিটি নৌকাকে বলা হয় সাবাড়। অর্থাৎ নৌকা বা প্রতি সাবাড়ে ৩ থেকে ৪ জন জেলে থাকে। মৌসুমের শুরুতে জাল নৌকা অন্যান্য সরঞ্জাম মিলে একটি সাবাড় নামাতে খরচ হয় লক্ষাধীক টাকা। এর পুরোটাই তারা ধার দেনা করে শুরু করে। স্থানীয় নদ নদীতে যে পরিমান মাছ পাওয়া যায় তাতে কোন মতে সংসার চলে এমন দাবী করে তারা বলেন বছর শেষে আমাদের সমিতি বা মহাজনী দেনায় ডুবে থাকতে হয়। সরকার জেলেদের পূনর্বাসনে এক কালীন জাল সরবরাহ করলে এ অঞ্চলের জেলেরা ঘন ঘন পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হতনা এমন দাবী করে বাবুল শেখ বলেন, প্রকৃত জেলেদের স্বচ্ছ তালিকা করে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় এনে পূনর্বাসন করার দাবী আমাদের। ইলিশের মৌসুম শেষ হলে তারা কি করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সুব্রত মন্ডল জানায় বছরের বাকী সময় তারা বেড় জাল অথবা ভোলা ফেসা মারা জাল ধরে মাছ ধরেই সংসার চালায়। দাকোপ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাম বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকা অপেক্ষা দাকোপের জেলেরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল, এরপর ও আমরা নিয়মিত অভিযান অব্যহত রেখেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন প্রকৃত জেলের সংখ্যা নির্ধারনে আমরা তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছি। আর নিষেধাজ্ঞাকালীন দেওয়া সহায়তা অপ্রতুল বিবেচনায় নিয়ে চাউলের পাশাপাশি ডাউল এবং তৈল দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট