ডেস্ক রিপোর্ট : ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু ও অবৈধ ক্যাসিনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ চরমে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভূমি দখল, হানিট্র্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীদের সর্বস্ব লুট এবং অবৈধ ক্যাসিনো কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে র্রফ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
নলধা-মৌভোগ গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী চক্র বছরের পর বছর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা কখনো ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, কখনো প্রতারণার ফাঁদ পেতে সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় চক্রটি আজ বেপরোয়া ও অদমনীয় হয়ে উঠেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা নাম উল্লেখ করে বলেন, স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার অনন্য হানিট্র্যাপের মাধ্যমে একাধিক প্রবাসীর কাছ থেকে কোটি টাকা আদায় করেছেন। শুধু তাই নয়, তারা অবৈধ ক্যাসিনো কার্যক্রম ও অর্থ পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে।
নরসিংদী থেকে আগত এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার স্বামী মালয়েশিয়ায় প্রবাসী। ওই অনন্যা কৌশলে আমার স্বামীর কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণ হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু অনন্যা নয়, তার দুই বোন আমেনা খাতুন ও ফাতেমা আক্তার সুবর্ণাও এই প্রতারণা চক্রে জড়িত।”
ফারহানা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, “ভূমিদস্যু শহিদুল আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেছেন। প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের নির্যাতনের ভয়ে আমার ভাই এখন দেশছাড়া।”
রশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামীর উদারতায় তারা একসময় আশ্রয় পেয়েছিল। অথচ পরবর্তীতে তারাই আমাদের জমি দখল করে আমাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভকারীরা ভূমিদস্যু শহিদুল ইসলাম, তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার অনন্যা, আমেনা খাতুন ও ফাতেমা আক্তার সুবর্ণার দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এলাকাবাসীর দাবি, এই চক্রকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সমাজ ও প্রবাসী শ্রেণিকে প্রতারণা ও নিপীড়নের ফাঁদে ফেলতে না পারে।