মণিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৫নং কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের বিরুদ্ধে টিসিবি, জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন,উত্তরাধিকার সনদ নিতে, অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ইউপি সচিব তুষার কা¤ি— দাঁয়ের বিরুদ্ধে।।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড থেকে টিসিবি কার্ড প্রতি নেওয়া হচ্ছে টাকা। কুলটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় গরীব লোক পরিষদে টিসিবির কার্ড একটিভ করতে গেলে নেওয়া হচ্ছে ৩০টাকা। কুলটিয়া ইউপিতে দায়িত্বরত সচিব তুষার কান্তি দাঁয়ের ঘনিষ্ঠ লোক কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আশিস কুমার হালদারকে দিয়ে করানো হচ্ছে রমরমা অর্থ বাণিজ্য। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়,এই টিসিবির কার্ড। এই কার্ড এক্টিভ করানোর কথা বলে গরিব অসহায়দের কাছ থেকে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৩০টাকা। এমনকি টাকা না দিলে হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার। এখানেই শেষনয় কুলটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো:কুদ্দুস মিয়ার মেয়ের কাছ থেকে,জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর জন্য দেড়শত টাকা নেন,পরিষদের ইউপি সচিব তুষার কান্তি দাঁয়ের ঘনিষ্ঠ লোক উদ্যোক্তা আশিস কুমার হালদারের হাত দিয়েই। বৃহ¯পতিবার ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব তুষার কান্তি দাঁ, পরিষদে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুসনদ ও জন্মসনদ সংশোধনে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ পুরো ইউনিয়নবাসীকে জিম্মি করে রাখেন ইউপি সচিব। এ ছাড়া আর জানান, এই তুষার কান্তি দাঁ মানেই দুর্নীতির আখড়া। তার বাবার তেমন কিছুই ছিল না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকায় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকে ধরে সচিব পদে চাকরি নিয়েছেন ওই সচিব। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। প্রতি বছরেই তিনি কিনছেন জমি । কয়েক বছরের মধ্যেই গড়েছেন আলিশান বাড়ি। যদি দুর্নীতি না করতো তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে এতকিছু করা সম্ভব হতো না বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন বলেন,আমি জন্ম নিবন্ধন কার্ড করার জন্য সচিব তুষার কান্তি দাঁ এর কাছে গেলে তিনি তার ঘনিষ্ঠ লোক আশিস কুমার হালদারের কাছে পাঠান তখন তিনি আমার কাছে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য দেড়শত টাকা দাবি করেন।পরে আমি তাকে নগদ দেড়শত টাকা দিয়ে পরিষদ থেকে চলে আসছি। এছাড়াও আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সচিব তুষার কান্তি দাঁ তার ঘনিষ্ঠ লোক উদ্যোক্তা বেসরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত আশিস কুমার হালদার ও তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী কে দিয়ে টিসিবির কার্ড দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে কার্ড প্রতি ৩০ টাকা করে নিচ্ছেন। ৬ নং ওয়ার্ল্ডের বুলু জানান, তার কাছ থেকে কার্ড এক্টিভের জন্যও টাকা দিতে হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। এর ফলে জনগণের চমর ভোগান্তি হচ্ছে। এই দুর্নীতির বিষয় জানতে চাইলে ইউনিয়ন সচিব তুষার কান্তি দাঁ বলেন উদ্বোতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের সামনে আমরা কোন কিছুই বলতে পারব না। এখন আর আগের মত নেই। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান(প্রশাসক) মো:রাজু আহমেদ বলেন,আমি ঠিক সময়ে পরিষদে আসতে পারি না, বিষয়টা আমি দেখবো।পরিষদে দুর্নীতির বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসক নিশাত তামান্নার কাছে জানালে তিনি বলেন, আপনারা ওয়েবসাইডে দেখেন নিয়ম পেয়ে যাবেন। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী খরচ নিতে পারবেন।