দশমিনা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের বাংলা বাজার থেকে কাজী বাড়ী পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এই কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ এখন চরমে পৌছে গেছে। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরসহ গছানী বাজার কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটি কাঁচা থাকায় গ্রামের স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ বছর ধরে এক কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগ অংশে খানাখন্দ ও কর্দমাক্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলাচলের অনুপযুক্ত এই কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে গ্রামের কমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে রয়েছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্রে গছানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গছানী মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঁশবাড়িয়া রজ্জাবিয়া দাখিল মাদ্রাসা অবস্থিত। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বাজারে চলাচলকারী বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর বিশাল জনগোষ্ঠীর চলাচলের জন্য একটি মাত্র রাস্তা থাকলেও তা চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে যায়। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামবাসীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।
গছানী গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশের ১১তম স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত জাতীয় যুব কৃষি উদ্যোক্তা কাজী আনিছুর রহমান জানান,কর্দমাক্ত এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। আমার কৃষি খামারটি দেখার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা,কৃষি উদ্যোক্তা ও ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা আসেন। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ার কারনে কোন যানবাহন যেতে পারছে না। দশমিনা-বাউফল প্রধান সড়কের বাংলা বাজারের পাকার মাথা হতে পূর্ব দিকে এই এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি কাজী বাড়ি হয়ে গছানী বাজার পর্যন্ত চলে গেছে। রাস্তাটিকে প্রতি বছর নিজেরাই সংস্কার করে চলাচল করতে হচ্ছে। এখন এই রাস্তাটি যদি পাকা করা হয় তবে জনগণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে। এলাকার বাসিন্দারা চরম অবহেলার বসবাস করছে। ৫৫ বছরেও গ্রামীন এই অবহেলিত রাস্তাটিতে এখন পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। জরুরি মুহূর্তে বয়স্ক মানুষ ও রোগীকে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদামাটি ও পিচ্ছিলসহ কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। জরুরি মুহূর্তে কোনো রোগী অথবা গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে নিদারুণ কষ্টে পড়তে হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনো বেহাল দশায় পড়ে আছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য এলাকাবাসী দাবি করেছেন।
এই ব্যাপারে গছানী গ্রামের বাসিন্দা ১১তম স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত জাতীয় যুব কৃষি উদ্যোক্তা কাজী আনিছুর রহমান জানান, মানুষের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে বলেন, বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। দূর্ভোগের কথা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কেউ পাঁকা করার জন্য উদ্যোগ নেয়নি। ইতিমধ্যে কাঁচা রাস্তাটি পাঁকা করনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে।