1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

তালার কৃষকদের জৈব সারের উপর ভরসা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : পরিবেশ ও মাটির উর্বরতা রক্ষায় তালার কৃষকেরা এখন জৈব সারকে নতুন ভরসা হিসেবে গ্রহণ করছেন। এতে করে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা। শিবপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা মোড়ল আব্দুল মালেক এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাত্র ১৮টি কেঁচো দিয়ে তিনি ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। এক দশকের পরিশ্রমে গড়ে ওঠা তাঁর খামারে বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ১৫ টন ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হচ্ছে। এই সার তালা ছাড়িয়ে খুলনা, যশোর ও ঢাকায়ও সরবরাহ হচ্ছে। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫ শতাধিক কৃষককে নিয়ে জৈব সার প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় প্রায় ৫০ হাজার কৃষক নিয়মিতভাবে জৈব সার উৎপাদন করছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তালার শিবপুর গ্রামের মোড়ল আব্দুল মালেক বলেন, “শুরুর দিকে মানুষ হাসাহাসি করতো কেঁচো দিয়ে কৃষি হবে কি! এখন তারা সরাসরি এসে সার কিনছে। আমার খামারে দুই ধরনের সার উৎপাদিত হয় ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট। আড়াই বিঘা জমিতে খামার পরিচালনা হয়, যেখানে নিয়মিত আট-দশজন শ্রমিক কাজ করেন।” তিনি আরও জানান, ট্রাইকো কম্পোস্ট মাটির জৈব উপাদান পুনরুদ্ধার করে, ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস করে এবং উপকারী পোকামাকড় বাঁচিয়ে রাখে। এতে উৎপাদন খরচ কমে, ফলন বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশও সুরক্ষিত থাকে। তালা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে উপজেলায় ১২০টির বেশি ক্ষুদ্র জৈব সার খামার চালু রয়েছে। এসব খামারের পণ্য স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। অনেক কৃষক জৈব সার উৎপাদনকে পেশা হিসেবেও গ্রহণ করছেন। মোড়ল আব্দুল মালেকের মেয়ে শাহিনুর ইয়াসমিন শিলা বলেন, “নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জৈব সারই ভবিষ্যতের পথ। সরকার যদি জৈব সার সহজলভ্য করে, তাহলে কৃষক যেমন উপকৃত হবেন, দেশও পাবে বিষমুক্ত খাদ্য।”স্থানীয় কৃষক মুকুল সরদার বলেন, “আগে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটির শক্তি নষ্ট হতো। এখন কেঁচো সার ব্যবহার করে ফলন ভালো হচ্ছে, মাটিও উর্বর হচ্ছে। ধান, সবজি, কলাসহ সব ফসলেই এটি কার্যকর।”তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, “ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট শুধু সার নয়, এটি পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি। মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা, শিকড় বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমরা প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি। জৈব সার ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব, যা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে টেকসই সমাধান।” কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়লে বাংলাদেশ দ্রুত একটি জৈব কৃষি নির্ভর দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে পারে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট