1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন

পরিবারিক পুষ্টি বাগান হাসি ফুটিয়েছে ডুমুরিয়ার কৃষক পরিবারে

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক পরিবারগুলোর জীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প। কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরিবারের নিরাপদ খাদ্যসংস্থান পূরণে এ বাগানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পরিবারের দৈনিক সবজির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে আয় করতে পারছেন চাষিরা। এতে গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিতে নতুন গতি যুক্ত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় দুই ধাপে পাঁচ শতাধিক বাগান স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কালিকাপুর মডেল অনুযায়ী নির্মিত এসব বাগান থেকে শাকসবজি আহরণ শুরু করেছেন সুবিধাভোগীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাছাইকৃত পরিবার থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে অথবা একজনকে দুই দিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাগান ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে তোলা হয়। প্রশিক্ষণের পর বসতবাড়ির আঙিনায় দেড় শতক জমিতে ‘কালিকাপুর মডেল’ অনুযায়ী বাগান স্থাপন করা হয়। প্রতিটি বাগানে উত্তর-দক্ষিণমুখী পাঁচটি বেড ও দুই পাশে মাচা তৈরি করা হয়েছে। বেডে লালশাক, বীটকপি, গাজর, পালংশাক, গীমা কলমি, পুঁইশাক, ডাটাশাক, ধনিয়া, কাঁচামরিচ, মূলোসহ বিভিন্ন শাকসবজি এবং মাচায় লাউ, কুমড়া, সিম, বরবটি ও ঝিঙা আবাদ করা হয়েছে। বাগানের দুই প্রান্তে থাই পেয়ারা, কদবেল, কুল ও চুইঝালের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাগানগুলো এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে সারা বছর শাকসবজি বা ফল পাওয়া সম্ভব হয়। প্রয়োজনীয় বীজ, সার, চারা ও অন্যান্য উপকরণ সরকার বিনামূল্যে সরবরাহ করছে; কৃষকেরা পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র মতে, পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি পুষ্টিবাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বরাতিয়া গ্রামের কৃষক নবদ্বীপ মণ্ডল জানান, বর্ষাকালীন ফসল তোলা হয়েছে এবং উৎপাদন সন্তোষজনক। তার পাঁচ সদস্যের পরিবারের ১৫–২০ দিনের সবজির চাহিদা তিনি এ বাগান থেকেই পূরণ করছেন। অতিরিক্ত সবজি বিক্রিও করতে পারছেন।
ফহরাদ হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের নির্দেশনায় বাড়ির আঙিনায় বাগান করার পর থেকে তাকে বাজার থেকে শাকসবজি কিনতে হচ্ছে না।
খর্ণিয়ার কৃষক হানিফ মোল্লা বলেন, আগে সবজি লাগালেও এত পরিকল্পিতভাবে কখনো লাগানো হয়নি। এখন তিনি পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত সবজি বিক্রির আশাও করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নূরুন নাহার জানান, পুষ্টিবাগান স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকেরা সারা বছরের সবজির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’—এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বসতবাড়ির আঙিনার পতিত জমিকে ব্যবহারের আওতায় আনা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ১০০টি করে পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে পতিত জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং চার সদস্যের পরিবারের সবজির অর্ধেক চাহিদা পূরণ সম্ভব। নারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে, যাতে গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি তারা সহজেই বাগান পরিচর্যা করতে পারেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট