ক্রীড়া প্রতিবেদক : আসন্ন বিসিবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। জেলা ও বিভাগীয় নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো কাউন্সিলরদের তালিকা বাতিল করে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিসিবি সভাপতির এমন আচরণে গতকাল (২১ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন বিএনপিপন্থি কাউন্সিলররা। আজ করা হয়েছে হাইকোর্টে রিট।
জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতির পাঠানো চিঠিকে অবৈধ ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন টাঙ্গাইলের তপন, লক্ষীপুরের কামরুল, গোপালগঞ্জের খসরু ও রাজবাড়ীর দুলাল।
এই রিটের প্রেক্ষিতে সোমবারই শুনানি আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিসিবি নির্বাচনের জন্য মনোনীত কাউন্সিলরদের তালিকা প্রকাশের কথা ছিল গত ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিজেই সেটাকে দুই দফা পিছিয়ে ২২ তারিখে নিয়ে যান। শুধু এটাই নয়, জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তারা বিসিবি নির্বাচনের জন্য মনোনীত কাউন্সিলরদের যে তালিকা প্রদান করেছেন সেটা বাতিল করে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন দেয়ার জন্য চিঠিও দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে প্রধান নির্বাহীর পরিবর্তে নতুন করে নিজে স্বাক্ষর দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন ঘোষণার পদ বিসিবি সভাপতি চিঠি পাঠিয়ে এমন নির্দেশ দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না৷ আর বিদ্যমান নিয়মে নতুন করে কাউন্সিলর পাঠানোর সুযোগও নেই। যেহেতু বিসিবি সভাপতি নিজেও নির্বাচনে লড়ছেন, তাই তার এমন কার্যক্রম নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।