
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের সফল কৃষি উদ্যোক্তা কাজী আনিছুর রহমানের কাজী কৃষি ফার্মে শীতকালে অসময়ে আমগাছে মুকুল ও ছোট বড় আম শোভা পাচ্ছে। উপজেলায় মডেল কৃষি খামার হিসাবে খ্যাত কাজী কৃষি খামারে বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী জাতের আম চাষ করে তিনি বাজিমাত করেছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এবং এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জাতের আমের চারা প্রদান এবং নিজ উদ্যাগে চারা সংগ্রহ করে রোপন করেন। বর্তমানে বাগানে আমের সমারোহ বিরাজ করছে। অল্প সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন একটি ফল আম। ফল হিসাবে চাহিদা প্রচুর থাকায় দিন দিন আমের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম চাষ করে কাজী আনিস বাজিমাত করে সাড়া ফেলেছে। তার বাগানে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছেন। বাগানে আম্রপালি,বারি-৪ এবং বিদেশী জাতের মধ্যে কিউজাই,ব্যানানা ম্যাগো ও ব্লাকস্টোন অন্যতম।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের সফল কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষিতে জাতীয় স্বর্ন পদক প্রাপ্ত কাজী আনিছুর রহমান জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে ৭০টি চারা রোপন করেছি। বাগানে এখন আমের সমারোহ বিরাজ করছে। আমের বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু আম আর আম। এই বছর প্রায় ১ লক্ষ টাকার আম বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, এটি এমন একটি ফল যা থেকে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তেমন একটা খরচ এবং পরিশ্রম ছাড়াই জমিতে জৈব সার দিলে এর ফলন বেশি হয়। ।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, আম একটি বিষমুক্ত ফল। উপকূলের মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। সকল চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হয়। অসময়ে অর্থাৎ শীতকালেও অত্র উপজেলায় আম চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা যায়।