
শরণখোলা প্রতিনিধি : সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অভয়ারণ্যে নিষিদ্ধ নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধে জেলেদের সতর্কতার জন্য লাল পতাকা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের অভয়ারণ্যের মাছ ধরায় নিষিদ্ধ নদী ও খালে কেউ যাতে মাছ ধরতে না পারে সে লক্ষে জেলেদের সতর্ক করার জন্য গত তিন দিন ধরে সুন্দরবনের খাল ও নদীর প্রবেশ মুখ ও আশে পাশে লাল পতাকা দন্ড স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন বনরক্ষীরা।
শেলারচর ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপত্ম কর্মকর্তা ফরেষ্টার আব্দুস সবুর বলেন, জেলেদের সতর্কতার জন্য শেলারচর টহল ফাঁড়ির আওতাধীন ছাপড়াখালী খাল, চান মিয়ার খাল, গাববাড়ীয়ার খাল, মরা চানমিয়ার খাল, আদানি গুডগুডি খাল ও সিংগারটেক বনাঞ্চলের খালের প্রবেশ মুখ ও আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে লাল পতাকা স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া শেলারচর শুঁটকি পল্লীর আশে পাশের বনের মধ্যে হরিণের বিচরণ এলাকায় কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য লাল ফিতার বেষ্টনি দেওয়া হয়েছে বলে ফরেষ্টার আব্দুস সবুর জানান।
জেলে পল্লী দুবলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার মিল্টন রায় বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মহোদয়ের নির্দেশে হরিণ শিকার ও অভয়ারণ্যের খালে মাছ ধরা প্রতিরোধে নিষিদ্ধ এলাকা সমূহে জেলেদের সতর্কতার জন্য লাল পতাকা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার তিন দিনে বনরক্ষীরা দুবলার আলোরকোল, মেহেলআলীসহ আশেপাশের খালে লাল পতাকা স্থাপন ও হরিণের বিচরণ এলাকায় ভুল করে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে সে জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল ফিতার বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের নদী খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। জেলেরা অনেক সময় অভয়ারণ্যের খালে ঢুকে পড়ে। সে কারণে জেলেদের সতর্ক করার লক্ষে অভয়ারণ্যের খাল ও আশেপাশের সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল পতাকা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ও ষ্টেশন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।