
ক্রীড়া প্রতিবেদক : লিওনেল মেসি যেন আবারও দেখালেন কেন তিনি ‘গ্রেটেস্ট’। তার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সেই এফসি সিনসিনাটিকে ৪–০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে ইন্টার মায়ামি।
রোববার রাতে সিনসিনাটির মাঠে মেসি করলেন এক গোল, আর বাকি তিন গোলেও ছিল তার দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট। তাদেও আলেন্দে দুই গোল করেন, আর বাকি গোলটি করেন কিশোর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাতেও সিলভেত্তি। এ জয়ের ফলে শনিবারের ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে জাইগা মিলল মায়ামির।
সেই ফাইনালেও ঘরের মাঠে খেলবেন মেসিরা, প্রতিপক্ষ নিউইয়র্ক সিটি এফসি। দিনের অন্য ম্যাচে তারা ১–০ গোলে টপ সিড ফিলাডেলফিয়াকে হারিয়ে এসেছে। নিউইয়র্কের একমাত্র গোলটি করেন আরেক আর্জেন্টাইন ম্যাক্সি মোরালেজ, ম্যাচের ২৭ মিনিটে।
তৃতীয় সিড মায়ামি বিপর্যস্ত করে দ্বিতীয় সিড সিনসিনাটিকে, গতি আর নিখুঁত আক্রমণে ম্যাচটিকে নিজেদের করে নেয় দলটি। মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো দাপুটে জয়ের পর বললেন, “খুব কঠিন মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি গর্বিত। প্রায় নিখুঁত ম্যাচ খেলেছে তারা।” মেসিকে নিয়ে তার প্রশংসা থামেনি, বলেন, “লিওকে শুধু কোচিং করাটাই নয়, পুরো দলটাকে সামলানোই বড় সৌভাগ্য। বল পায়ে সে কী করতে পারে সবাই জানে। আজ বল ছাড়া অবস্থায়ও সে অসাধারণ কাজ করেছে।”
২৬ হাজার দর্শকে টইটম্বুর ছিল টি–কিউ–এল স্টেডিয়াম। ঘরের মাঠে অঘটনের স্বপ্ন দেখছিল সিনসিনাটি। ১৫ মিনিটে কেভিন দেনকি মায়ামি গোলরক্ষক রোক্কো রিওস নোভোকে পরীক্ষা নিলেও গোলের দেখা পায়নি তারা। এর ঠিক পরেই আসে মায়ামির প্রথম গোল। মেসির চমৎকার থ্রু-পাসে ডান দিক ফাঁকায় পান সিলভেত্তি- যিনি অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারেসের বদলে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। সিলভেত্তির ক্রস থেকে হেড করে সহজেই গোল করেন মেসি। স্কোরলাইন ১–০।
২২ মিনিটে সমতার সুযোগ পেয়েও শট বাইরে মেরে হতাশেন সিনসিনাটির এন্দের এছেনিকে। এরপর পুরো ম্যাচটাই চলে মায়ামির নিয়ন্ত্রণে। ২৭ মিনিটে সুযোগ পেয়ে মেসির শট পোস্টের বাইরে যায়, তবে খেলা মায়ামির দখলেই ছিল। ৫৭ মিনিটে মেসির পাস থেকে গোল করেন সিলভেত্তি, স্কোর হয় ২–০। এরপর খোলা মাঠ পেয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয় মায়ামি। ৬২ মিনিটে দারুণ থ্রু-পাসে আলেন্দেকে দিয়ে গোল করান মেসি, ৩–০। ৭৪ মিনিটে আবারও মেসির নিখুঁত পাসে আলেন্দের দ্বিতীয় গোল, ব্যবধান বেড়ে হয় ৪–০।
আগামী শনিবার ইস্ট ও ওয়েস্ট কনফারেন্সের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ওয়েস্ট ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভারের প্রতিপক্ষ হবে সান ডিয়েগো–মিনেসোটা ম্যাচের বিজয়ী। ৬ ডিসেম্বর এমএলএস কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই কনফারেন্স ফাইনালের বিজয়ীরা।