ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০২৬ সালে ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। এই বিশ্বকাপের উত্তাপ না যেতেই বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হবে আরেকটি হাইভোল্টেজ সিরিজ। আগামী বছর মার্চের শেষ সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফরে আসছে শক্তিশালী পাকিস্তান দল। টাইগারদের সঙ্গে লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচে।
তবে চমকপ্রদভাবে এই সফরে থাকছে না কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, যা আগে আইসিসির এফটিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সিরিজ দিয়েই কার্যত নতুন এক চ্যালেঞ্জের সূচনা হতে যাচ্ছে টাইগারদের জন্য। কারণ পাকিস্তান সফরের আগেই বিশ্ব মঞ্চে লড়বে-লিটনরা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বৈশ্বিক সেই লড়াই শেষে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথ্য দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
সূত্র মতে, ২৬ মার্চ শুরু হতে পারে দুই দলের প্রথম লড়াই। ঐতিহাসিক দিনেই শুরু হতে যাওয়া সিরিজে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর হোম অব ক্রিকেট, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে পাহাড়ঘেরা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এদিকে, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে পুরোপুরি চট্টগ্রামে, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম এককভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তাবিত সূচি পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে। পিসিবির সম্মতির পরই চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করা হবে। পাকিস্তান সিরিজের পর টাইগারদের পরবর্তী মিশন আরও কঠিন। এই উপমহাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি হোম সিরিজ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।