ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলার রায় আগামী নভেম্বরের মধ্যে হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে দুর্নীতি প্রতিরোধে টিআইবির সঙ্গে পাঁচ বছরের সমঝোতা স্মারক সই করে দুদক।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ছয়টি প্লট নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে এসব মামলায় গত ৩১ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে তাদের সন্তানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত। এর মধ্যে তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ১১ আগস্ট। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ওই তিন মামলার বিচার কাজ চলছে।
আর বিশেষ জজ রবিউল আলমের আদালতে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকদের বিরুদ্ধে তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ১৩ আগস্ট।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি যে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর অক্টোবরের শেষ দিকে কিংবা নভেম্বরের প্রথম দিকে আদালত যেটা বিবেচনাযোগ্য মনে করবেন, সেই অনুযায়ী রায় ঘোষণা করবেন।’
টিউলিপ সিদ্দিকীর ফ্ল্যাট জালিয়াতির মামলার স্থগিতাদেশ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেই মামলায় একজন আইনজীবী এসে যাওয়ায় অন্য আইনজীবীরাও স্বাভাবিকভাবেই পেশাগত কারণে সমর্থন জানিয়েছেন। এর ফলে উচ্চ আদালত থেকে একটি স্টে অর্ডার জারি হয়েছে। বর্তমানে আমরা সেই স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করার প্রক্রিয়ায় আছি। ভ্যাকেট হয়ে গেলে মামলাটি এগিয়ে যাবে।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক—আপনারা যেমন চান, আমরাও সেটাই চাই।’