ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপকূলীয় পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নের সংযোগস্থল চৌদ্দরশি ব্রিজের পশ্চিমে খোলপেটুয়া নদীর চরে প্রায় ৩০০ একর বনায়নের গাছ নির্বিচারে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া যেখানে-সেখানে গর্ত খুঁড়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি করায় নতুন গাছ জন্মাতেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দুই ইউনিয়নের সংগবদ্ধ চক্র দিন-রাত করাত ও কুড়াল দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন কিংবা বন বিভাগের কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই। বহু বছর ধরে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ থেকে এ চর বনায়ন উপকূলকে রক্ষা করে আসছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বনের ভেতরে ছোট-বড় নানা প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং ফেলে রাখা ডালপালা ও গর্তে জমা পানির কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, মাছ শিকারিরা এসব গর্ত ব্যবহার করে রেণুপোনা ধরে বিক্রি করে। এভাবে কয়েক মাসের মধ্যে কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক এস.এম. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি এলাকার লোকজন গাছ কেটে পাচার করছে। এমনকি মাদকসেবীরাও অর্থের জন্য গাছ কেটে বিক্রি করছে।’
পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক সোহানুর রহমান সতর্ক করে বলেন, ‘নির্বিচারে গাছ কাটা ও মাছ শিকার পরিবেশের জন্য ভয়ংকর হুমকি। উপকূলীয় সুরক্ষা নষ্ট হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন বলেন, ‘এ ধরনের গাছ কাটা দুঃখজনক। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসনও সরাসরি ব্যবস্থা নেবে।’