ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো কর্মকর্তা যদি দলীয় আচরণ করেন, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শুরু সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মধ্যে এতে ছিলেন- ইসির সাবেক কর্মকর্তা মো. জকরিয়া, পর্যবেক্ষক সংস্থা ফেমার প্রেসিডেন্ট মনিরা খান, ইসির সাবেক কর্মকর্তা খন্দকার মিজানুর রহমান, মো. নুরুজ্জামান তালুকদার, মিহির সারওয়ার মোর্শেদ, শাহ আলম, মীর মোহাম্মদ শাহজাহান, মিছবাহ উদ্দিন আহমদ, মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, মাহফুজা আক্তার।
সিইসি বলেন, আমরা ব্যাংক থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নেওয়ার কথা বলছি। কারণ, সরকারি কর্মচারী যারা আছেন, প্রাইমারি স্কুলের টিচার বলেন, আর যাই বলেন, নিচের লেবেলে এরা তো দেখে কোন সরকার ক্ষমতায় আসবে। প্রমোশন হয় কি না, বদলি করে দেয় কি না, এমন একটা ভয় থাকে। তাই আমরা ব্যাংক, ট্যাংক এসব চিন্তা করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে নানা কারণে অভিযোগ আসছে, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা, উই আর টেক কেয়ার অব দিস। আমরা তালিকা হয়তো নেব। যা করার আমরা করব মোটমুটিভাবে।
সিইসি বলেন, অন্তর্যামী হলেন আল্লাহতাআলা। এখন অন্তরের মধ্যে কোনো দলীয় মনোবৃত্তি আছে কি না, সেটা তো জানা সম্ভব না। তবে দলীয় দলদাসের মতো কাজ করতে পারবেন না, সেটা আমরা নিশ্চিত করব। কারও যদি রাজনৈতিক অভিলাষ থাকেও, সেটা বাস্তব কাজে প্রতিফলিত হবে না, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
তিনি বলেন, আগে তো বলা হতো একটা পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন তো সে রকম নির্দেশনা যাবে না। কোনো পক্ষে কাজ করলে অ্যাকশন নেওয়া হবে। এখনকার মেসেজ হলো এটা। এখন কারও পক্ষে কাজ করলে অ্যাকশন হবে। এই মেসেজ আমরা দিয়েছি, আরও দেব।
সিইসি বলেন, নির্বাচন করার দায়িত্ব তো কেবল ইসির না। এটা জাতীয় দায়িত্ব। ভোটের সময় ইসির ক্ষমতা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পায়। আগে তো রাতে গিয়ে মোটিভেটেড করে কায়দা করে ভোটটা আদায় করে নেওয়া হয়েছে। এখন যত রকমের কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব আমরা নেব, যাতে দলীয় আচরণ না করতে পারে।
গত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের নিয়ে সবাই তো সন্দেহ পোষণ করে। তবে ভালো-খারাপ তো সবখানেই আছে। কিন্তু একদম অনেকে বলছেন, গত তিন নির্বাচনে যারা কাজ করেছেন, তারা যেন ধারেকাছে না আসতে পারে। এখন ১০ লাখ লোকের মধ্যে বাদ দিতে গেলে কম্বলই উজাড়। লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড়, আমার অবস্থা হয়েছে সে রকম।
সিইসি আরও বলেন, সুতরাং তাদের কিছু নিতে হবে। তবে তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। মানুষ তো মানুষই। বিবেক আছে তো। সে তো পরিস্থিতি বুঝবে, কখন কোথায় কাজ করছে। কাজেই অনেকেই দেখবেন সঠিক আচরণ করছেন, ইনশাআল্লাহ।