1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় ‌কেন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা?

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলায় কৃষি বিপ্লব হয়েও দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে কৃষকের অতি পরিচিত শস্য গম। তুলনামূলক আয়ের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রান্তিক কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস বলছে, গত বছর উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার নেমে এসেছে ৮১০ হেক্টরে। গত বছরের তুলনায় এবার গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্থলে বর্জন হয়েছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় দিন দিন গম চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, এমনকি ফলন কম হওয়ার কারণে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা।
নানা কারণে গম চাষ হুমকির মুখে পড়েছে।বক্কার বিগত দিনে সাতক্ষীরা জেলায় গম চাষে ককদর ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও বর্তমান সময়ে গম চাষে কৃষকরা অনাগ্রহী হয়ে গেছে। কৃষকরা মনে করেন, গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামুকভাবে অনেক লাভ হয়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর সাতক্ষীরার তত্ত্ববাধানে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের বারি গম-৩০ বারি মৌসুম থাকলেও নিজ উদ্যোগে অন্য সব ফসলের মতো গম চাষ খুব কম হচ্ছে। তালা উপজেলার গনেশপুর গ্রামের কৃষাণি রানু বালা দাশ বলেন, ‘আমাকে তালা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে গমের বীজ ফ্রি দিয়েছে। আমি ৩৩ শতক জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছি। বর্তমানে আমার ফসলের অবস্থা খুব ভালো। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে ভালো ফলন পাব।
কৃষক মন্তাজ আলী জানান, সরকারি সহযোগিতায় ১৫ শতক জমিতে গম চাষ করেছেন তিনি। জমিতে এসে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আগামী বছর সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বেশি জমিতে গমের চাষ করার কথাও জানান তিনি। এছাড়াও এলাকার একাধিক কৃষকরা বলেন, সরকারিভাবে আমরা সহযোগিতা পেলে ধান চাষের পাশাপাশি গম চাষ করতে পারব। ধান চাষের ওপর কৃষকদের আগ্রহ ও ফলন বৃদ্ধি করতে যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
একইভাবে কৃষকদের গম চাষের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে সব কৃষকেরা গম চাষের প্রতি আগ্রহী হবে। কৃষকরা আরও বলেন, অন্য ফসলের উন্নতমানের জাত ও বীজের গুণাগুণ, গুণগত মান সম্পর্কে আমরা সহজে জানতে পারি, কিন্তু গমের জাত ও বীজের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের (কৃষকের) মাঝে প্রশিক্ষণ প্রদান করে গমের চাষ পদ্ধতি ও উন্নত জাতের বীজ সম্পর্কে অবগত করলে ভালো হবে।
সাতক্ষীরায় সাধারণ, কাঞ্চন, আতবর, অগ্রণী, প্রতিভা, সৌরভ জাতের গম চাষ করা হয়। জেলার আবহাওয়া অনুযায়ী গমের চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়ে থাকেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সাইফুল ‌ইসলাম এই প্রতিবেদককে‌বলেন, ‘গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চমুল্যের সবজি চাষ হওয়ায় গম
চাষ কমে যাওয়ার একটি কারণ। কয়েকটি উপজেলায় গম চাষ কমে গেছে। প্রদর্শনী প্লট করে কিছু কিছু চাষিদের সার ও গমের বীজ বিনামুল্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাও কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে।’
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে চাষিদের চাষের তালিকা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গম । শ্রমিকসংকট, লাভ কম, ইঁদুরের উপদ্রব, মাড়াইয়ের সমস্যা, ভালো বীজের অভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গম চাষে চাষিরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। বর্তমানে গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তত্বাবায়নে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের বারি গম-৩০ বারি মৌসুম  থাকলেও নিজ উদ্যোগে অন্য সব ফসলের মতো গম চাষ খুব কম হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলাতে গত ৬ বছরে শুধু গমের চাষ হ্রস পেয়েছে ৪৮ ভাগ জমিতে। ২০১৬ সালে জেলায় গমের আবাদ হয় ১৫৬৬ হেক্টর জমিতে আর ২০২৪ ২৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৮১০ হেক্টরে। এই অবস্থা বিরাজ করছে উপকূলের জেলা গুলোতে।
বিশ্বে খাদ্যশস্য গমের অবস্থান বাংলাদেশে দ্বিতীয়। স্বাধীনতার পর ধানের মতো গম উৎপাদন এলাকা ক্রমান্বয়ে বাড়লেও নানা কারণে আশানুরূপ বাড়েনি। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে গম উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ১৯ লাখ ৮ হাজার টন,আর বর্তমানে তা ১৪ লাখ টনের কাছাকাছি এসে ঘুরপাক খাচ্ছে। ২০১৬ সালের ফেব্রæয়ারির মাঝামাঝিতে সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা প্রভৃতি জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর গমের জমিতে মারাত্মক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে যা মোট আবাদি জমির প্রায় ৩ শতাংশ। এ রোগে ফলন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যায় এবং ক্ষেত্রবিশেষে ফসল প্রায় সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়। একের পর এক নতুন রোগবালাই নিরাময় এবং বিপর্যয় উত্তরণের প্রযুক্তি না জানার শঙ্কায় গমের চাষ কমে যায়।
তালা উপজেলার বড়বিলা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন (৫০) বলেন, গম আবাদ বাদ না দিয়া করমো কী? এখন তো গমের ফলন ভালো হয় না। কাটা মাড়াইয়েরও মানুষ পাওয়া যায় না। গমের জমিতে ধান গাড়লেও ভালো হয় না। ওই জন্যে গমের আবাদ বাদ দিয়েছি।
কলারোয়া উপজেলার করিম মোড়ল বলেন, অন্য ফসলের উন্নত মানের জাত ও বীজের গুনাগুণ, গুনাগত মান সম্পর্কে আমরা সহজে জানতে পারি কিন্তু গমের জাত ও বীজের গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। তবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের মাঝে প্রশিক্ষণ প্রদান করে গমের চাষ পদ্ধতি ও উন্নত জাতের বীজ সম্পর্কে অবগত করলে ভালো হবে। তাহলে গমের চাষের উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার নেমে এসেছে ৮১০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এর স্থলে বর্জন হয়েছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় দিন দিন গমের চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ হওয়ায় গম চাষ কমে যাচ্ছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের উপর কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা, কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে।
দেশের খাদ্যনিরাপত্তা তালিকায় ধান আর আলুর মতো সোনালি গম উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এমনি প্রত্যাশা এ দেশের মাটি ও মানুষের।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল লবণাক্ততা এলাকা হিসাবে পরিচিত। সমুদ্রকূলবর্তী এলাকা হওয়াতে এখানে একদিকে যেমন লবণাক্ততা অন্য দিকে তেমনি নানান ধরনরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সন্মূখীন হতে হয়। লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে খাপ খাইয়ে এলাকার মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মান সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অতীতে এলাকাতে নানান ধরনের প্রাণবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিলো। এলাকাতে চাষ হতো নানান ধরনরে শস্য ফসল। যতদিন অতিবাহিত হয়েছে ততই শস্য ফসলের আবাদ কমে গেছে। লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বেশির ভাগ জমিতে শুধুমাত্র রোপা আমনই একমাত্র ফসল। এলাকার কৃষকরা সাধারণত দেরিতে পাকে এমন ধান চাষ বেশি করে। আমন ধান কাটার পরে এলাকার অধিকাংশ জমি পতিত থাকে। তবে পুরোটায় নয় আবার কিছু কিছু স্থানে ডাল ও সরিষা চাষ করে। সব কিছুর পরও উপকূলীয় এলাকার মানুষ তাদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে লবণাক্ততা জমিতে চাষাবাদের জন্য নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কখন কোন ফসল লাগাতে হবে তা নিয়ে যেন তাদের একপ্রকার গবেষণা চলছে। কখন কোন জমিতে কি ফসল ফলানো যায় তা নিয়ে তাদের চেষ্টার শেষ নেই। কৃষি জমিতে কখনো আমন ধান, কখনো খেসারি, মুগ ডাল ও সরিষা,আলু চাষ । সাথে বসতভিটায় নানান ধরনের সবজি, মসলা চাষ ও করছে।

লবণাক্ততার মধ্যে দিয়ে এবং আমন ধান কাটার পরে জমি যাতে পতিত না থাকে তার জন্য গম চাষের চেষ্টা করেন শ্যামনগর উপজেলার কালমেঘা গ্রামের কৃষক রাধাকান্ত মন্ডল। গত মার্চ মাসে মাঠ পর্যবেক্ষণে তার সাথে কথা হয় যে, এলাকাতে আগে গম হতো না এবছর হঠাৎ করে গম লাগালেন কেন? লাগিয়ে কি মনে হলো? এটা কি লবণ সহনশীল ইত্যাদি বিষয়ে তার কাছে জানার চেষ্টা করা হয়।

এ বিষয়ে রাধাকান্ত মন্ডল বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে ৬২ বছর কোন সময় গম লাগাইনি। এলাকায় যে গম হবে তা জানতাম না। কারণ আমাদের এলাকা তো লবণাক্ততা। শুধুমাত্র বিলে আমন ধান লাগাতাম। যে বছর মিষ্টি পানি থাকতো সে বছর গরমের ধান লাগাতাম। আমন ধান বর্ষার পানি দিয়ে হয় বলে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু আমন ধান কাটার পর জমিতে লবণ ওঠে। ফলে কোন কিছু হয় না, জমি ফেলে রাখতাম। একদিকে মাটি লবণ অন্যদিকে জমির পাশে চিংড়ি ঘের, পাশে একটা যে পুকুর আছে তার পানিও দুধ নোনতা তা দিয়ে তেমন কিছু হয় না। বারসিক’র যোগাযোগের মাধ্যমে গত বছর থেকে আমাদের গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিসের আইএফএম কৃষক মাঠ স্কুল চলমান রয়েছে। সেখানে আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে সেই স্কুলের শিক্ষার্থী। কৃষি অফিস থেকে স্কুল চলমান অবস্থায় বিভিন্ন সহায়তা চলমান রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারই ধারাবাহিকতায় আমাকে গম চাষ করার জন্য ২০ কেজি গম বীজ সহায়তা করা হয়। প্রথমত আমি গম চাষ করতে চাইনি। তারপরও চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম লবণে তো কিছুই হয়না সব সসময় তো নানান কিছু চেষ্টা করি। তা ঠিক আছে একটা বার গম চাষ করে দেখি কিরকম হয়। বিলের অন্য যে জমি আছে সেখানে তো হবে না। তাই বাড়ির পাশে যে ১৩ শতক জায়গা ছিলো সেখানেই কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রথম গম চাষ করি এবং তা মোটামুটি ভালো হয়। প্রায় দেড় মণের মতো হতে পারে। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থাকলে হয়তো আরো বেশি ফলন পেতাম। কারণ সেচ দেওয়ার সময় যে বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিলো সেটা আমার জানা ছিলো না। যে সেচ দেওয়া পানি এক ঘন্টার বেশি আটকে রাখা যাবে না। এতে অনেক গাছের গড়ায় পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে।’
রাধাকান্ত মন্ডল জানান, এবার থেকে প্রতিবছর গম লাগাবেন। কোন জায়গা ফেলে রাখবেন না। কারণ গম একটু লবণসহনশীল এবং এর সেচও কম লাগে। একটু তদবির করলে ভালো ফলনও হয়। শুধু ধান কেন এবার গমের আটাও খেতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন। তাঁর এ গম চাষ দেখে গ্রামে অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন। তারা আগামীতে গম চাষ করার কথা জানিয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ততার মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসলের জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। উপকূলীয় লবণাক্ততা এলাকায় ধান প্রধান ফসল। ধানের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষে কৃষককে আগ্রহী ও উদ্যোগী করে তোলা জরুরি।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট