
ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীর সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানা এলাকায় রোববার রাতে চার জনকে ঘাতকেরা হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে দুই জন শিশু, একজন বৃদ্ধা ও একজন যুবক। সোনাডাঙ্গা থানাধীন করিম নগর এলাকায় একরাম আলাউদ্দীন মৃধা (৩০) নামের ওই যুবককে একাধিক গুলি করে এবং জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পেশায় দিনমজুর। অন্য তিন জনের মধ্যে শিশু দুই জনকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে। তবে, বৃদ্ধার কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ জানতে পারে নি।
কেএমপি’র বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা নিহতের স্ত্রীর দেয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, রাত পৌনে ৮ টার দিকে তিনটি মোটর সাইকেলে যোগে একরাম, মিন্টু, ল্যাংড়া ইয়াসিন, সবুজ, শহীদসহ অজ্ঞাত আরেক জন সন্ত্রাসী সৈয়দ আলী হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জামাই পাড়া এলাকায় ভিকটিমের বাড়ী আসে। তারা আলাউদ্দীনকে জাপটে ধরে কয়েক রাউণ্ড গুলি করে। এরপর ধাঁরালো চাপাতি দিয়ে জবাই করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পাালিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তি যুবলীগ কর্মী জালালের ছোট ভাই।
রাত ১০ টা ১০ মিনিটে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবীর হোসেন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউণ্ড গুলির খোসা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট তখন আইনগত কাজ সারছিলেন।
(ওসি) বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তৃুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনত ব্যবস্খা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে, লবনচরা থানাধীন মুক্তা কমিশনার কালভার্ট দরবেশ গলি সংলগ্ন একটি মুরগির খামারের মধ্যে থেকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নানি মহিতুন্নেছা (৫৫), নাতি মোস্তাকিম (৮) এবং নাতনি ফাতিহা (৭) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকা শিশু দুইটিকে উদ্ধার করে তার পিতা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধা মহিতুন্নেছার লাশ উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।
লবনচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, নিহত দুই শিশুর মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। বৃদ্ধার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানসহ জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।