
যশোর অফিস : যশোরের অভয়নগরের এক দম্পতির ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে অশালীন মন্তব্য ও পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তায় আটকে এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার অভয়নগর উপজেলার গোয়াখোলা গ্রামের মেহেদী হাসান আকাশের স্ত্রী সুমাইয়া (২৭) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলাটি করেন। আসামি করা হয়েছে চেঙ্গুটিয়া চাপাতলা এলাকার খায়বার মোল্লা ওরফে খায়েরের ছেলে হোসাইন ইসলাম (২৪)কে।
মামলা গ্রহণ করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডল বিষয়টি সরাসরি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য অভয়নগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়েছে,সুমাইয়ার ছবি ব্যবহার করে ‘সোনাপাখি’ নামে একটি ভুয়া আইডি খোলে হোসাইন ইসলাম। ওই আইডি থেকে ‘এই মাল লাগবে তো’,১০০ টাকা লাগবে’, ‘প্রথমবার ফ্রি সার্ভিস’, ‘কাজ করলে কল দিও’এ ধরনের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করা হয়। একইভাবে সুমাইয়ার স্বামী মেহেদী হাসান আকাশের ছবিও ব্যবহার করে ‘শেষ পৃষ্ঠা’ নামের আরও একটি ফেক আইডি খোলে। সেখানেও নানা আপত্তিকর মন্তব্য দেওয়া হয়।
সুমাইয়া অভিযোগ করেন, ঘটনাটি জানাজানি হলে তিনি জানতে পারেন উভয় ভুয়া আইডির পেছনে রয়েছেন হোসাইন ইসলাম। তাঁর স্বামীর সঙ্গে অভিযুক্তের পূর্ব শত্রুতা ছিল।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ অক্টোবর রাতে বাদিনীর মা হালিমা বেগম ফোন দিলে হোসাইন ইসলাম তাঁদের পরিবারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন,‘তোদের পরিবারকে সুখে থাকতে দেব না।’ এঘটনায় বাদিনী ও তাঁর স্বামী অভয়নগর থানায় দুটি জিডি করলেও পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
এরপর ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে অভয়নগরের ভাড়া বাসায় ফেরার পথে পালপাড়া রোডের শাপলা খাতুনের বাড়ির সামনে তাঁদের গতিরোধ করে হোসাইনসহ দুই–তিনজন। বাদিনীর দাবি, তাঁকে জোর করে ভ্যান থেকে নামিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয় এবং গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় তারা।
সেদিন রাতেই থানায় গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে সোমবার (১৭ নভেম্বর) তিনি আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
Like this:
Like Loading...
Related