1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাতলায় লাল শাপলা ধংশের মুলে, বিলে মাছের চাষাবাদ মোংলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ, ১৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ ফকিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে নারীর মৃত্যু নগরীতে অনিবন্ধনকৃত ইজিবাইক আটক অভিযান শুরু নড়াইলে অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার দুইটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি, অস্ত্রের আবেদন প্রক্রিয়াধীন শাহজালালে আগুন: ৩ দিন ননসিডিউল ফ্লাইটে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা; অন্যত্র আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা ভোমরা ‌স্থলবন্দ ‌,আঞ্চলিক অর্থনীতিতে আসবে বড় পরিবর্তন

খুবির হল ও ক্যাফেটেরিয়ায় নিম্নমানের খাবার, অভিযোগ টেস্টিং সল্ট ব্যবহারের

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : নিম্নমানের খাবার, অতিরিক্ত দাম ও ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ক্যাফেটেরিয়া, হল ক্যান্টিন ও আশপাশের দোকানগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বাসি ও অরুচিকর খাবারকে মুখরোচক করতে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘টেস্টিং সল্ট’, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী, ‘স্নায়ু বিষ’ হিসেবে পরিচিত এই রাসায়নিক ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্যান্সারসহ নানা ভয়াবহ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অথচ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ক্যান্টিন ও খাবারের দোকানে নিয়মিতই এ রাসায়নিক ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুইটি আবাসিক হল থাকলেও, ছাত্রীদের হলগুলোতে নেই কোনো ক্যান্টিন। ডাইনিং-ব্যবস্থাও অনিয়মিত। ফলে অধিকাংশ ছাত্রীকে বাধ্য হয়ে নিজেদের হলে রান্না করে খেতে হয় কিংবা পাশের হল রোডের দোকানগুলো থেকে অতিরিক্ত দামে খাবার কিনতে হয়। ওইসব দোকানে একটি ডিম ২৫ টাকা, একটি পিস মুরগি বা মাছ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বহু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিনে মানহীন খাবারকে মুখরোচক করতে ব্যবহৃত হচ্ছে টেস্টিং সল্ট। তারা একাধিকবার ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২ অক্টোবর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলের রান্নাঘর থেকে শিক্ষার্থীরা প্রায় ২৫০ গ্রাম টেস্টিং সল্ট উদ্ধার করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, আমি কৌতূহলবশত রান্নাঘরে ঢুকে একটি ময়লা বয়ামে টেস্টিং সল্ট দেখতে পাই।
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই প্রভোস্টকে জানাই। তবে হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার সাগর দাবি করেন, বিশেষ কিছু রান্নার জন্য মাঝেমধ্যে সামান্য পরিমাণে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, খিচুড়ি, পোলাও, মাংস, রোস্ট, মাছ, ডাল ও সবজিসহ প্রায় সব খাবারেই টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদে ভিন্নতা থাকলেও শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। অপরাজিতা হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশের বদলে প্রতিনিয়ত পচা-বাসি খাবার আর অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।
খাবারে টেস্টিং সল্ট মেশানো হয় বলেই প্রায়ই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. কানিজ ফাহমিদা বলেন, নিয়মিত টেস্টিং সল্ট গ্রহণে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শরীরে তাৎক্ষণিক প্রভাব না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এটি মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. খসরুল আলম বলেন, মাছ-মাংসের দাম বাড়ায় কিছুটা খাবারের মূল্য বেড়েছে। তবে ক্যান্টিনে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সচেতন থেকে এসব বিষয়ে আমাদের অবহিত করা প্রয়োজন। তারা খাবারের মান বা মেন্যু নিয়ে নিয়মিত জানালে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট